ফুড়ুৎ
দ্যাখতো, আমি আমাকে গুছাচ্ছি একটু একটু করে
পাতার বাঁশির মতো, ভাঁজ করে- হচ্ছে কি?
দ্যাখোনা, ভাঁজটা যে ভালো হতেই হবে, কি হচ্ছে?
এইবার ফুঁ দাও- জোরে আরো জোরে—-
এইবার চেয়ে দ্যাখো তোমার তীব্র ফুঁতে
আমি এসে পড়েছি তোমার খাঁচা থেকে দূরে –অনেক দূরে
পাতার বাঁশির মতো, ভাঁজ করে- হচ্ছে কি?
দ্যাখোনা, ভাঁজটা যে ভালো হতেই হবে, কি হচ্ছে?
এইবার ফুঁ দাও- জোরে আরো জোরে—-
এইবার চেয়ে দ্যাখো তোমার তীব্র ফুঁতে
আমি এসে পড়েছি তোমার খাঁচা থেকে দূরে –অনেক দূরে
পরকীয়া মেঘ
উপত্যকা ঘেঁষে মেঘ ছুটছে। এখানে
থ্রিজি নেই
ওয়াটারওয়েভে ওয়াই-ফাই
অচল। তুমুল বৃষ্টিতে কে কাঁদে?
বৃষ্টিতে ভেজা বাড়ি। রহস্য খুলে দিচ্ছে
ন্যানো টেকনোলোজি। পাসওয়ার্ড হ্যাকিং
অ্যাপস দিয়ে
গোপনে জেনে নিচ্ছি রোজ
তোমার মনের রহস্য, যতই দেখা
থ্রিজি নেই
ওয়াটারওয়েভে ওয়াই-ফাই
অচল। তুমুল বৃষ্টিতে কে কাঁদে?
বৃষ্টিতে ভেজা বাড়ি। রহস্য খুলে দিচ্ছে
ন্যানো টেকনোলোজি। পাসওয়ার্ড হ্যাকিং
অ্যাপস দিয়ে
গোপনে জেনে নিচ্ছি রোজ
তোমার মনের রহস্য, যতই দেখা
ডানার গতি, ও তুই পরকীয়া মেঘ-
২২/৫/১৪
পুরোনো খেলনা
(প্রিয় আত্মজাকে)
তুমি চলে গেছো ঠিক সময় বা বয়সের সিঁড়ি বেয়েবেয়ে
খেলনাটা ফেলে রেখে গেছো যা বারান্দায় হাঁটে সবাই চুপচাপ ঘুমিয়ে গেলে
আমি শুনি তার পায়ের শব্দ
আমি ফিরে যাই তোমার ছোট বেলায়
তেড়ে এসে ঝাপিয়ে কোলে চড়ে বসা আবদার এটাসেটা মাকে ডেকে কেঁদে ওঠা কতকিছু!
খেলনাটা ফেলে রেখে গেছো যা বারান্দায় হাঁটে সবাই চুপচাপ ঘুমিয়ে গেলে
আমি শুনি তার পায়ের শব্দ
আমি ফিরে যাই তোমার ছোট বেলায়
তেড়ে এসে ঝাপিয়ে কোলে চড়ে বসা আবদার এটাসেটা মাকে ডেকে কেঁদে ওঠা কতকিছু!
আমি আর তোমার খেলার পুতুল বারান্দায় হাঁটি দুজন;
আর খুব করে মনে পড়ে তোমার প্রশ্ন -‘বাবা, মা কবে আসবে ?’ —
বার বার ফিরে আসি
তোমাকে আজকাল অস্থির লাগে
অস্থির তোমার কথারা
সেলাই করে রাখা কথারা খুলে পড়ে যাচ্ছে
মাচা থেকে,
অস্থির তোমার কথারা
সেলাই করে রাখা কথারা খুলে পড়ে যাচ্ছে
মাচা থেকে,
আজকাল কবিতাও লিখো না কেন?
বৃষ্টির তালে তালে কবিতা পড়তে
তুমি সুনীলের “কেউ কথা রাখেনি ” পড়তে
আবেগ এনে! ছল, ছল হয়ে উঠতো চোখ,
বারান্দা থেকে রোদালো ফুরিয়ে
না যাওয়া পর্যন্ত হাঁটতে থাক একা একা
সেইসব সোনাখর উঠোন,
লাল ঝুঁটিওয়ালা মোরগ দল, নীল-সাদা খয়েরি হাঁস
সময়ের চাকায় চড়ে যে যার মতো
হারিয়ে গেছে পথভোলা পথ ধরে
পুরোনো আলমারি, পুরোনো ঘরে
তোমার বহুজন্মের আগের
ফটো এলবামের ফটোগুলো
খরগোশ, সজারু, ইঁদুরের মতো লাগে
বৃষ্টির তালে তালে কবিতা পড়তে
তুমি সুনীলের “কেউ কথা রাখেনি ” পড়তে
আবেগ এনে! ছল, ছল হয়ে উঠতো চোখ,
বারান্দা থেকে রোদালো ফুরিয়ে
না যাওয়া পর্যন্ত হাঁটতে থাক একা একা
সেইসব সোনাখর উঠোন,
লাল ঝুঁটিওয়ালা মোরগ দল, নীল-সাদা খয়েরি হাঁস
সময়ের চাকায় চড়ে যে যার মতো
হারিয়ে গেছে পথভোলা পথ ধরে
পুরোনো আলমারি, পুরোনো ঘরে
তোমার বহুজন্মের আগের
ফটো এলবামের ফটোগুলো
খরগোশ, সজারু, ইঁদুরের মতো লাগে
রং ঝলসে গেলে চিত্রাংকনের ছবি
করুন বদলে যায়।
কখনো মনে হয় রগের মতো ছোট নদী
বয়ে যাচ্ছে মেলা রক্ত স্রোত নিয়ে,
জীবন একটা ছোট চলচ্চিত্রই যেন
কত কিছুই ঘটে যায় একটা ছোট জীবনেনাটকের মতো চরিত্ররা আসে….. যায়
আড্ডা জমানো মানুষগুলো, মুথায় আগুন
জ্বালিয়ে রেখেই হালত ধরে চলে গেছে না ফেরার ঠিকানায়-
জরো হওয়া মানুষেরা বসে থাকে গল্প
শুরু হবে ভেবে-
করুন বদলে যায়।
কখনো মনে হয় রগের মতো ছোট নদী
বয়ে যাচ্ছে মেলা রক্ত স্রোত নিয়ে,
জীবন একটা ছোট চলচ্চিত্রই যেন
কত কিছুই ঘটে যায় একটা ছোট জীবনেনাটকের মতো চরিত্ররা আসে….. যায়
আড্ডা জমানো মানুষগুলো, মুথায় আগুন
জ্বালিয়ে রেখেই হালত ধরে চলে গেছে না ফেরার ঠিকানায়-
জরো হওয়া মানুষেরা বসে থাকে গল্প
শুরু হবে ভেবে-
কোলে দেখা শিশুরাও বড় হয়ে গেছে
বিয়ে হয়েছে, ভালো চাকরি হয়েছে
না খেয়ে থাকা গরিব পরিবারটা
নিজেদের ভাগ্য বদলে নিতে
পেরেছে
-অহ! এখন সিগারেট খেয়ে নিবে?
শ্বাসকষ্ট বেড়েছে?
এই ফাঁকে তোমার গত জন্মের প্রেমিকার চিঠিটা পড়ে শোনাই
-এখন না?
রাত বেড়ে যাচ্ছে
ল্যাপ্টপের দেয়ালে এঁকে দেখো
একটা নারী মুখ,
চোখ আঁকলে জলটলমল করে উঠবে
বেচারি, তোমাকে ভালোবাসতো কি-না
প্রথমা, যাকে বলতে তুমি-
নাম, আমারো মনে নেই।
ঘুম পাচ্ছে বুঝি?
ঘুমালেই স্বপ্নে নীল হয়ে যাবে তুমি
জংধরা খাঁচা থেকে বেরিয়ে
দেব-দূতের মতো সিঙ্গা ফুঁকতে ফুঁকতে
এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে ঘুরে বেড়াবে
তুমি
বিয়ে হয়েছে, ভালো চাকরি হয়েছে
না খেয়ে থাকা গরিব পরিবারটা
নিজেদের ভাগ্য বদলে নিতে
পেরেছে
-অহ! এখন সিগারেট খেয়ে নিবে?
শ্বাসকষ্ট বেড়েছে?
এই ফাঁকে তোমার গত জন্মের প্রেমিকার চিঠিটা পড়ে শোনাই
-এখন না?
রাত বেড়ে যাচ্ছে
ল্যাপ্টপের দেয়ালে এঁকে দেখো
একটা নারী মুখ,
চোখ আঁকলে জলটলমল করে উঠবে
বেচারি, তোমাকে ভালোবাসতো কি-না
প্রথমা, যাকে বলতে তুমি-
নাম, আমারো মনে নেই।
ঘুম পাচ্ছে বুঝি?
ঘুমালেই স্বপ্নে নীল হয়ে যাবে তুমি
জংধরা খাঁচা থেকে বেরিয়ে
দেব-দূতের মতো সিঙ্গা ফুঁকতে ফুঁকতে
এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে ঘুরে বেড়াবে
তুমি
আর খুঁজবে, পুরোনো ধ্বংসস্তূপে
হারিয়ে যাওয়া দিন, দু’বেণী বাঁধা
হরিণী কিশোরী…
হারিয়ে যাওয়া দিন, দু’বেণী বাঁধা
হরিণী কিশোরী…
ভাড়া করা শরীরে আর কতদিন?
তাও একদিন বেহাত হয়ে যাবে
বেহাত হওয়া জুম খেতের মতো
বেহাত হয়ে যাওয়া প্রেমিকার মতো
তাও একদিন বেহাত হয়ে যাবে
বেহাত হওয়া জুম খেতের মতো
বেহাত হয়ে যাওয়া প্রেমিকার মতো
এভাবেই একদিন
কোত্থেকে খাটবোঝাই পাখির পালক
উড়ে এলো
এমন নরোম বিছানা পেয়ে
ঘুমিয়ে পড়বে
শেষ ঘুম
কোত্থেকে খাটবোঝাই পাখির পালক
উড়ে এলো
এমন নরোম বিছানা পেয়ে
ঘুমিয়ে পড়বে
শেষ ঘুম
আবার কার গর্ভে, কার প্রেমিক হয়ে
কোন সমুদ্রে , কোন জলসীমার নাবিক হয়ে, এই অস্থির ধরায়…
কোন সমুদ্রে , কোন জলসীমার নাবিক হয়ে, এই অস্থির ধরায়…