রেজারেকশন
ভূতের রাতে আপেল জয় করে যুবতীকে
ঈশ্বরের রাতে আপেল জয় করে যুবতীকে
ভূত আপেল ও ঈশ্বর
আলো ও জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে
চলে গেছে গাছে
যুবতী দেখছে
লাল রুমাল খুলে দিচ্ছে পৃথিবী
যুবতী দেখছে
হলুদ রুমাল পড়ে আছে
যুবতীর
পায়ের কাছে
ঘুঙুর
সিংহের পিঠের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝড়
কবিতায় ঘুরছে মেরি-গো-রাউন্ড
কেউ আঁকেনি কলঘর
ঘরের দেওয়ালে মাছ এঁকে
সবাই চলে গেছে
নদীতে সাঁতার কাটতে
মাছের বুকের ভেতর থেকে
ঘুঙুর গড়িয়ে পড়ছে
ঠিকানাবিহীন চিঠি
গাছ মুছে দিয়েছে
আমার যৌবন
আমি অনেক বছরের পুরনো
ঠিকানাবিহীন এক চিঠি
আমার প্রেমিকাকে
আমি বুঝিয়েছিলাম
ইংরেজ কবিরা
চুল ও গোলাপ ফুলের প্রতি
বেশ মনোযোগী
পোড়োবাড়ি
কানের পাশে মেঘ ডাকছে
লবণের কাছে ঋণী আছি
মনে পড়ছে
স্লেটের দুপারে আত্মীয়স্বজনদের কথা
মাথায় টুপি পরে
কেন লোক এগিয়ে আসছে
আমার দিকে
লোকটির পা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে
পোড়োবাড়ির গন্ধ
দস্তানা
জিভ দিয়ে গাছ চাটে করিডোরের অশ্রু
আপাদমস্তক বৃষ্টিপাতে লাফাতে থাকে
কলম ও তুলো
আমি কীভাবে হেঁটে যাবো জ্যামিতি-বক্সের দিকে
আমাদের জাতীয়সংগীতে ঢুকে গেছে এখন
আততায়ীর দস্তানা
চশমা উৎসব
জটিল জলস্রোত খুলে দেখেছি কাব্যগ্রন্থ
ভোজালির পাশে শুয়ে আছে রোদ
আমার রাত পোহালো শারদ-প্রাতে…
বোঝা গেল পাতার স্প্রিং-প্রবণতা
পরদার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে যাবতীয় চশমা
আমরা চশমা-উৎসবে যাবো
স্বরলিপি
আমার হাতের শেষে গর্ত
আমার পায়ের শেষে গর্ত
স্কুলবাড়িতে বরাবরই ছিলো কুয়াশা
কোটের ভেতর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে কোট
আমার ওপরে
মাছের কাঁটায় বিঁধে আছে টুথব্রাশ
কফিনের মধ্যে ডুকরে উঠছে স্বরলিপি
ঘোড়া সিরিজ-১
ঘোড়া ছুটলেই স্বপ্ন শুরু
ঘোড়া টপকে গেছে স্বপ্ন-১
টপকে গেছে স্বপ্ন-২
স্বপ্ন-৩ যে ঘোড়া ঘাস খাচ্ছে
বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে আছে
শাদা একলা বাড়ি
ঘোড়া ঘাস ফেলে বাড়ি খাচ্ছে
পরদা জুড়ে নাচছে বৃষ্টির কঙ্কাল
উলের দিকে ছুটে যাচ্ছো তুমি
এলোমেলো পংক্তিগুলি সাজাতে সাজাতে উধাও ঘোড়া
চড়ুইভাতি
ঘোড়ার পিঠে দুলছে সবুজ বন
আকাশের তারা টিপে টিপে কে নেমে আসছে
হাঁস বলছে শুধু গল্পের কথা
মুরগী বলছে যুদ্ধের কথা
চাঁদ ফাঁক ক’রে আমরা দেখছি
চড়ুইভাতি আর কতো দূর
টুপি
জিভে ছোট হয়ে আসছে দিন
অক্ষরের ফাঁকে খুনির মতো
আমি বসে আছি চুপচাপ
সমুদ্রকে সাজাতে হবে ঠিকঠাক
কামরাঙা পার হয়ে গেলে, তিব্বতী ভালোবাসায়
আমরা উড়িয়ে দেবো টুপি
ভাঙা
যে কোনো কথাবার্তায় চলে আসে থমথমে কুয়ো
উল্টো ক’রে জামা পরার মতো সব কিছু মনে হয়
মন খারাপ হলে লাট্টুর মতো পাক খেতে খেতে
ফিরে আসে ফাঁকা মাঠ
ঘরের মধ্যে জ্বলছে ধু-ধু রেলস্টেশন
চিরুনির শেষে ভেঙে যাচ্ছে গ্রাম
চার্লি
তারপর শুরু হ’ল সেই গল্প
রাতের ঠোঁটে হেঁটে যাচ্ছেন চ্যাপলিন
সিন্দুক থেকে ভেসে আসছে হাততালি
ঘরে নাচছে ফুলদানি
পাতায় পাতায় যতখানি গিয়েছিলাম
ঠিক ততখানি ফিরে এসেছি সুতোয় সুতোয়
আলোচনা
সেতুর কাছে আমি রেখেছি পাটিগণিতের প্রস্তাব
পলাশের জটিলতায় খাছি রাস্তার ভুলভাল
দুধের কাছ থেকে মাইল মাইল দূরে আছি
পেরেক নিয়ে তো তেমন আলোচনা হল না কোনোদিন
লাল অক্ষর
মনে পড়ছে লাল সোয়েটার
সোয়েটারের শরীর জুড়ে ছিল
একটি মেয়ের অজস্র লাল চুমু
সোয়েটার উড়তে উড়তে পার হয়ে গেছে
নদী নালা পাহাড় পর্বত
হু হু করে শীত বাড়ছে
ভাঙা দাঁতের মতো পড়ে আছে লাল অক্ষর
লোকটি
ময়না গড়ছে আয়না
শালিখ আয়না ভাঙছে
জাহাজের ছায়ায় ছায়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে লোকটি
ফৌজিদের জুতো
কান্না থামাতে গিয়ে
খরগোশের মুখ নিয়ে
গল্প লিখছি
তুলার ভিতর থেকে উড়ে যাচ্ছে
মেঘ
মাটি ফেটে বেরিয়ে পড়ছে
ফৌজিদের জুতো
রান্নাঘর
উটের পিঠে চেপে এক ভিখারি
রোদ বিলি করে বেড়ায় শহরে
সে কারো কাছে ঋণী নয়
সে আগুনের স্তন পান করে
উপমা হিসেবে ব্যবহার করে মগ্ন কুয়ো
রুটি বেলতে বেলতে যুবতীর হাত থেকে
উড়ে গেছে বেলুনচাকি
মিলিটারির মতো মার্চ করতে করতে
পর পর চলে গেছে গ্লাস
আপেলের ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ছে বেড়াল
বেড়ালের ছায়ায় ভাসছে রান্নাঘর
নেশা
মাঝরাতে লোকটি বাড়ি ফিরলো
তখন আকাশ থেকে মদ পড়ছে
তখন গাছ ফেটে মদ পড়ছে
তখন মাটি ফেটে মদ পড়ছে
দূর থেকে উড়ে এলো কুলো
কুলোয় চেপে উড়ে এলো পরী
লোকটি পরীকে জড়িয়ে ধরলো
পরীর পা ফেটে রক্ত পড়ছে
লোকটি মদের অনুবাদ করলো
রক্ত
রক্ত নিয়ে লোকটি ঢুকলো ঘরের ভেতর
ভূতের রাতে আপেল জয় করে যুবতীকে
ঈশ্বরের রাতে আপেল জয় করে যুবতীকে
ভূত আপেল ও ঈশ্বর
আলো ও জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে
চলে গেছে গাছে
যুবতী দেখছে
লাল রুমাল খুলে দিচ্ছে পৃথিবী
যুবতী দেখছে
হলুদ রুমাল পড়ে আছে
যুবতীর
পায়ের কাছে
ঘুঙুর
সিংহের পিঠের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝড়
কবিতায় ঘুরছে মেরি-গো-রাউন্ড
কেউ আঁকেনি কলঘর
ঘরের দেওয়ালে মাছ এঁকে
সবাই চলে গেছে
নদীতে সাঁতার কাটতে
মাছের বুকের ভেতর থেকে
ঘুঙুর গড়িয়ে পড়ছে
ঠিকানাবিহীন চিঠি
গাছ মুছে দিয়েছে
আমার যৌবন
আমি অনেক বছরের পুরনো
ঠিকানাবিহীন এক চিঠি
আমার প্রেমিকাকে
আমি বুঝিয়েছিলাম
ইংরেজ কবিরা
চুল ও গোলাপ ফুলের প্রতি
বেশ মনোযোগী
পোড়োবাড়ি
কানের পাশে মেঘ ডাকছে
লবণের কাছে ঋণী আছি
মনে পড়ছে
স্লেটের দুপারে আত্মীয়স্বজনদের কথা
মাথায় টুপি পরে
কেন লোক এগিয়ে আসছে
আমার দিকে
লোকটির পা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে
পোড়োবাড়ির গন্ধ
দস্তানা
জিভ দিয়ে গাছ চাটে করিডোরের অশ্রু
আপাদমস্তক বৃষ্টিপাতে লাফাতে থাকে
কলম ও তুলো
আমি কীভাবে হেঁটে যাবো জ্যামিতি-বক্সের দিকে
আমাদের জাতীয়সংগীতে ঢুকে গেছে এখন
আততায়ীর দস্তানা
চশমা উৎসব
জটিল জলস্রোত খুলে দেখেছি কাব্যগ্রন্থ
ভোজালির পাশে শুয়ে আছে রোদ
আমার রাত পোহালো শারদ-প্রাতে…
বোঝা গেল পাতার স্প্রিং-প্রবণতা
পরদার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে যাবতীয় চশমা
আমরা চশমা-উৎসবে যাবো
স্বরলিপি
আমার হাতের শেষে গর্ত
আমার পায়ের শেষে গর্ত
স্কুলবাড়িতে বরাবরই ছিলো কুয়াশা
কোটের ভেতর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে কোট
আমার ওপরে
মাছের কাঁটায় বিঁধে আছে টুথব্রাশ
কফিনের মধ্যে ডুকরে উঠছে স্বরলিপি
ঘোড়া সিরিজ-১
ঘোড়া ছুটলেই স্বপ্ন শুরু
ঘোড়া টপকে গেছে স্বপ্ন-১
টপকে গেছে স্বপ্ন-২
স্বপ্ন-৩ যে ঘোড়া ঘাস খাচ্ছে
বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে আছে
শাদা একলা বাড়ি
ঘোড়া ঘাস ফেলে বাড়ি খাচ্ছে
পরদা জুড়ে নাচছে বৃষ্টির কঙ্কাল
উলের দিকে ছুটে যাচ্ছো তুমি
এলোমেলো পংক্তিগুলি সাজাতে সাজাতে উধাও ঘোড়া
চড়ুইভাতি
ঘোড়ার পিঠে দুলছে সবুজ বন
আকাশের তারা টিপে টিপে কে নেমে আসছে
হাঁস বলছে শুধু গল্পের কথা
মুরগী বলছে যুদ্ধের কথা
চাঁদ ফাঁক ক’রে আমরা দেখছি
চড়ুইভাতি আর কতো দূর
টুপি
জিভে ছোট হয়ে আসছে দিন
অক্ষরের ফাঁকে খুনির মতো
আমি বসে আছি চুপচাপ
সমুদ্রকে সাজাতে হবে ঠিকঠাক
কামরাঙা পার হয়ে গেলে, তিব্বতী ভালোবাসায়
আমরা উড়িয়ে দেবো টুপি
ভাঙা
যে কোনো কথাবার্তায় চলে আসে থমথমে কুয়ো
উল্টো ক’রে জামা পরার মতো সব কিছু মনে হয়
মন খারাপ হলে লাট্টুর মতো পাক খেতে খেতে
ফিরে আসে ফাঁকা মাঠ
ঘরের মধ্যে জ্বলছে ধু-ধু রেলস্টেশন
চিরুনির শেষে ভেঙে যাচ্ছে গ্রাম
চার্লি
তারপর শুরু হ’ল সেই গল্প
রাতের ঠোঁটে হেঁটে যাচ্ছেন চ্যাপলিন
সিন্দুক থেকে ভেসে আসছে হাততালি
ঘরে নাচছে ফুলদানি
পাতায় পাতায় যতখানি গিয়েছিলাম
ঠিক ততখানি ফিরে এসেছি সুতোয় সুতোয়
আলোচনা
সেতুর কাছে আমি রেখেছি পাটিগণিতের প্রস্তাব
পলাশের জটিলতায় খাছি রাস্তার ভুলভাল
দুধের কাছ থেকে মাইল মাইল দূরে আছি
পেরেক নিয়ে তো তেমন আলোচনা হল না কোনোদিন
লাল অক্ষর
মনে পড়ছে লাল সোয়েটার
সোয়েটারের শরীর জুড়ে ছিল
একটি মেয়ের অজস্র লাল চুমু
সোয়েটার উড়তে উড়তে পার হয়ে গেছে
নদী নালা পাহাড় পর্বত
হু হু করে শীত বাড়ছে
ভাঙা দাঁতের মতো পড়ে আছে লাল অক্ষর
লোকটি
ময়না গড়ছে আয়না
শালিখ আয়না ভাঙছে
জাহাজের ছায়ায় ছায়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে লোকটি
ফৌজিদের জুতো
কান্না থামাতে গিয়ে
খরগোশের মুখ নিয়ে
গল্প লিখছি
তুলার ভিতর থেকে উড়ে যাচ্ছে
মেঘ
মাটি ফেটে বেরিয়ে পড়ছে
ফৌজিদের জুতো
রান্নাঘর
উটের পিঠে চেপে এক ভিখারি
রোদ বিলি করে বেড়ায় শহরে
সে কারো কাছে ঋণী নয়
সে আগুনের স্তন পান করে
উপমা হিসেবে ব্যবহার করে মগ্ন কুয়ো
রুটি বেলতে বেলতে যুবতীর হাত থেকে
উড়ে গেছে বেলুনচাকি
মিলিটারির মতো মার্চ করতে করতে
পর পর চলে গেছে গ্লাস
আপেলের ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ছে বেড়াল
বেড়ালের ছায়ায় ভাসছে রান্নাঘর
নেশা
মাঝরাতে লোকটি বাড়ি ফিরলো
তখন আকাশ থেকে মদ পড়ছে
তখন গাছ ফেটে মদ পড়ছে
তখন মাটি ফেটে মদ পড়ছে
দূর থেকে উড়ে এলো কুলো
কুলোয় চেপে উড়ে এলো পরী
লোকটি পরীকে জড়িয়ে ধরলো
পরীর পা ফেটে রক্ত পড়ছে
লোকটি মদের অনুবাদ করলো
রক্ত
রক্ত নিয়ে লোকটি ঢুকলো ঘরের ভেতর